___আমার মায়ের মৃত্যু___
__
_আমার মায়ের মৃত্যু___
.
.
.
আমার বয়স যখন চার বছর।তখন আমি জন্ম-
মৃত্যু সম্পর্কে কোন ধরনা ছিল না।
দিনটা ছিল রবিবার।বাড়ি ভর্তি অনেক
মানুষ।অনেক মানুষ কান্না করছে।কিন্তু
আমার চোখে পানি নেই।
পানি আসবে কি করে আমি ত জানতাম
না কি হইছে।শুধু দেখতেছিলাম।
মাকে একটা খাটের ওপর শুয়ে রাখা আছে।
তার পাশে অনেক মানুষ।
অনেকে কান্না করছে।আবার কেউ
তাকে একবার দেখে চলে যাচ্ছে।
.
.
.
কিন্তু মা যে চোখ বন্ধ করে আছে তা আর
খুলছে না।আমি মায়ের কাছ থেকে একটু
দুরে।আমার পাশে বাবা।আমার
হাতটা ধরে নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে আছে।
তার মুখের দিকে চাহিয়া দেখলাম কোন
শব্দ নেই।কে যেন আজ তার মুখের সব শব্দ
আজ কেড়ে নিয়েছে।কিছুক্ষন পর আমার
মুখের শব্দ সে অন্য এক জগত থেকে যেন
ফিরে আসিল--
--বাবা,আমি মার কাছে যাব।
.
--আমার কথা শুনে বাবা আমার মুখের
দিকে চেয়ে আছেন।কিন্তু কোন উত্তর নেই।
.
কিছুক্ষন পর আবার আমি সেই প্রশ্ন আবার
করলাম।কিন্তু পিতা আমার মামাকে ডাক
দিয়ে বললেন--তাকে একটু তার মার
কাছে নিয়ে যাও।
.
.
.
আমাকে মামা নিয়ে গেলেন মার কাছে।
আমি যখন দেখলাম সেই মায়াময়ী মুখখান
চোখ খানা বন্ধ করে শুয়ে আছে।তখন
আমি ডাকদিলাম--মা তুমি ঘুমিয়ে আছ
কেন।ওঠ আজ খেলবে না।আচ্ছা আমি আজ
দুষ্টুমি করব না।
.
.
.
এই কথা শুনার পর সবাই যেন কান্নাটা আর
বাড়িয়ে দিল।মামা আমাকে সেখান
থেকে নিয়ে চলে আসলেন।বাবার
কাছে দিয়ে চলে গেলেন।
--বাবা মাকে ওই জায়গায়
শুয়ে রাখা হইছে কেন?আর সবাই
কাদছে কেন।
.
.
.
আমার কথা শুনার পর বাবা সেই আগের মত
চুপ হয়ে আছে।কিছুক্ষন পর দেখলাম
বাবা চোখ থেকে পানি ঝড়ছে।এর কিছু সময়
পর মাকে একটা খাট থেকে গোসল
করিয়ে সাদা পোশাক
পরিয়ে আরেকটা খাটে আনা হল।এত
কান্নাকাটি, এত মানুষের শব্দের মাঝেও
মা ঘুম থেকে উঠছে না।আগে মাকে ঘুম
থেকে আস্তে করে ডাক দিলে উঠে পড়ত।
.
.
.
কিন্তু আজ কি এমন হল।এত কিছুর পরও
উঠছে না।কিছুক্ষন পর সেই খাটটি সহ
মাকে কাধে তুলে হাটা শুরু করল।
বাবা আমার মাথায়
একটা টুপি পরিয়ে দিয়ে সবার
সাথে হাটা শুরু করল।গন্তব্যস্থল
আমি জানি না।শুধু এইটুকু জানি সবাই
যেখানে যাচ্ছে আমাকেও
সেখানে যেতে হবে।একটা বিশল
মাঠে এসে হাজির হলাম।মাঠটি আমার
কাছে একটু পরিচিত কারন বাবার
সাথে ঈদের দিন একবার এসেছিলাম।
খেয়েল করলাম মাঠে অনেক লোক।সবাই
সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আছে।আর সবার
সামনে সেই খাটটি যেখানে আমার
মা শুয়ে আছে।
.
.
.
কিছুক্ষন পর সেখান থেকেও
খাটটি কয়েকজন কাধে উঠিয়ে চলে গেলেন।
আবার তাদের পিছু পিছু হাটা শুরু করলাম।
এবার গিয়ে থামলাম একটা কবরের পাশে।
.
.
.
আর লিখতে পারছি না।হাতটা কেমন
জানি কাপছে।বুকের ভিতর কেমন জানি হুহু
করে উঠছে।চোখের কোনে কয়েক ফোট জল
জমেছে।সেখান থেকে এক ফোট জল খাতায়
পরে খাতাটা একটু ভিজে গিয়েছে।
_আমার মায়ের মৃত্যু___
.
.
.
আমার বয়স যখন চার বছর।তখন আমি জন্ম-
মৃত্যু সম্পর্কে কোন ধরনা ছিল না।
দিনটা ছিল রবিবার।বাড়ি ভর্তি অনেক
মানুষ।অনেক মানুষ কান্না করছে।কিন্তু
আমার চোখে পানি নেই।
পানি আসবে কি করে আমি ত জানতাম
না কি হইছে।শুধু দেখতেছিলাম।
মাকে একটা খাটের ওপর শুয়ে রাখা আছে।
তার পাশে অনেক মানুষ।
অনেকে কান্না করছে।আবার কেউ
তাকে একবার দেখে চলে যাচ্ছে।
.
.
.
কিন্তু মা যে চোখ বন্ধ করে আছে তা আর
খুলছে না।আমি মায়ের কাছ থেকে একটু
দুরে।আমার পাশে বাবা।আমার
হাতটা ধরে নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে আছে।
তার মুখের দিকে চাহিয়া দেখলাম কোন
শব্দ নেই।কে যেন আজ তার মুখের সব শব্দ
আজ কেড়ে নিয়েছে।কিছুক্ষন পর আমার
মুখের শব্দ সে অন্য এক জগত থেকে যেন
ফিরে আসিল--
--বাবা,আমি মার কাছে যাব।
.
--আমার কথা শুনে বাবা আমার মুখের
দিকে চেয়ে আছেন।কিন্তু কোন উত্তর নেই।
.
কিছুক্ষন পর আবার আমি সেই প্রশ্ন আবার
করলাম।কিন্তু পিতা আমার মামাকে ডাক
দিয়ে বললেন--তাকে একটু তার মার
কাছে নিয়ে যাও।
.
.
.
আমাকে মামা নিয়ে গেলেন মার কাছে।
আমি যখন দেখলাম সেই মায়াময়ী মুখখান
চোখ খানা বন্ধ করে শুয়ে আছে।তখন
আমি ডাকদিলাম--মা তুমি ঘুমিয়ে আছ
কেন।ওঠ আজ খেলবে না।আচ্ছা আমি আজ
দুষ্টুমি করব না।
.
.
.
এই কথা শুনার পর সবাই যেন কান্নাটা আর
বাড়িয়ে দিল।মামা আমাকে সেখান
থেকে নিয়ে চলে আসলেন।বাবার
কাছে দিয়ে চলে গেলেন।
--বাবা মাকে ওই জায়গায়
শুয়ে রাখা হইছে কেন?আর সবাই
কাদছে কেন।
.
.
.
আমার কথা শুনার পর বাবা সেই আগের মত
চুপ হয়ে আছে।কিছুক্ষন পর দেখলাম
বাবা চোখ থেকে পানি ঝড়ছে।এর কিছু সময়
পর মাকে একটা খাট থেকে গোসল
করিয়ে সাদা পোশাক
পরিয়ে আরেকটা খাটে আনা হল।এত
কান্নাকাটি, এত মানুষের শব্দের মাঝেও
মা ঘুম থেকে উঠছে না।আগে মাকে ঘুম
থেকে আস্তে করে ডাক দিলে উঠে পড়ত।
.
.
.
কিন্তু আজ কি এমন হল।এত কিছুর পরও
উঠছে না।কিছুক্ষন পর সেই খাটটি সহ
মাকে কাধে তুলে হাটা শুরু করল।
বাবা আমার মাথায়
একটা টুপি পরিয়ে দিয়ে সবার
সাথে হাটা শুরু করল।গন্তব্যস্থল
আমি জানি না।শুধু এইটুকু জানি সবাই
যেখানে যাচ্ছে আমাকেও
সেখানে যেতে হবে।একটা বিশল
মাঠে এসে হাজির হলাম।মাঠটি আমার
কাছে একটু পরিচিত কারন বাবার
সাথে ঈদের দিন একবার এসেছিলাম।
খেয়েল করলাম মাঠে অনেক লোক।সবাই
সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আছে।আর সবার
সামনে সেই খাটটি যেখানে আমার
মা শুয়ে আছে।
.
.
.
কিছুক্ষন পর সেখান থেকেও
খাটটি কয়েকজন কাধে উঠিয়ে চলে গেলেন।
আবার তাদের পিছু পিছু হাটা শুরু করলাম।
এবার গিয়ে থামলাম একটা কবরের পাশে।
.
.
.
আর লিখতে পারছি না।হাতটা কেমন
জানি কাপছে।বুকের ভিতর কেমন জানি হুহু
করে উঠছে।চোখের কোনে কয়েক ফোট জল
জমেছে।সেখান থেকে এক ফোট জল খাতায়
পরে খাতাটা একটু ভিজে গিয়েছে।
Comments